দেশের মধ্যে ভ্রমণ করুন সর্বনিম্ন রেট-এ
- ঢাকা – বরিশাল ৩০৯৯/=
- ঢাকা – সিলেট ৩৯৯৯/=
- ঢাকা – সৈয়দপুর ৩৯৯৯/=
- ঢাকা – রাজশাহী ৩৯৯৯/=
- ঢাকা – যশোর ৩৯৯৯/=
- ঢাকা – চট্টগ্রাম ৪০৯৯/=
- ঢাকা – কক্সবাজার ৫২৯৯/=
শর্ত প্রযোজ্য
এয়ার টিকেট করার সময় কয়েকটা জিনিষ খেয়াল করা খুবই জরুরি।
*Flight Segments & Transit:
বাংলাদেশ থেকে শুধু বিশ্বের কয়েকটা শহরেই সরাসরি ফ্লাইট আছে, তাও অনেক সময়ই দামের কথা চিন্তা করলে সেগুলা থাকে আমাদের নাগালের বাইরে। তাই ব্যাংকক, কুয়ালা লামপুর, সিঙ্গাপুর, কলকাতা আর মধ্য প্রাচ্চের কয়েকটা শহর ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় যাওয়ার জন্যই ট্রানজিট ফ্লাইট নিতে লাগে আমাদের।
ট্রানজিট ফ্লাইট নেওয়া যদিও সমস্যার কিছু না, তবে ট্রানজিটের জন্য আপনার ভিসা লাগবে কিনা, সেটা চেক করে খুবই জরুরি। মোটামুটি সব দেশের ইম্মিগ্রেশন আমাদের এক PNR এ(Passenger Name Record) আমাদের ফ্লাইট থাকলে আর কেও যদি ট্রানজিট এলাকাতেই থাকে, তাহলে ভিসা ছাড়াই আমাদের পরের ফ্লাইট ধরতে দেয় আর এয়ারলাইনও সেই ব্যাপারে সমস্যা করে না। তবে কিছু দেশ, যেমন USA, Canada, Australia, New Zealand, UK, Hong Kong সেই permission আমাদের দেয় না (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঐ দেশের ভিসা না থাকলে আপনাকে বোর্ডিং পাস দিবে না, এমনকি কেও যদি এয়ারপোর্টের ট্রানজিট জোনেও থাকে), তাই ঐসব দেশের কোনো শহরে আপনার ট্রানজিট থাকলে, আপনার অবশ্যই আপনার এজেন্সির সাথে বা এয়ারলাইনের সাথে যোগাযোগ করে আগে থেকেই ঐ ব্যাপারে অবগত থাকা উচিৎ। ভালো কোনো এজেন্সি থেকে টিকেট করতে গেলে, এই ব্যাপারে আপনাকে আগে থেকেই জানাবে, কিন্তু অনেকেই যেহেতু এখন অনলাইনে টিকেট করে থাকেন, তাই নিজে নিজে IATA Travel Centre এর website থেকে চেক করে নিতে পারেন। লিংকটা নিচে দেওয়া আছে।
এছাড়াও কারো যদি একই দেশে ২ টা এয়ারপোর্টে ট্রানজিট থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ঐ দেশের ভিসা থাকাটা আবশ্যক। যেমন কম খরচে চায়না থেকে বাংলাদেশ আসার জন্য, ইদানিং অনেকেই একটা অপশন দেখবেন, যেটা চায়নার কোনো শহর থেকে জোহর বারু হয়ে কুয়ালালামপুর হয়ে ঢাকা আসে। যায় ক্ষেত্রে আপনার একই PNR এ, ৩ টা ফ্লাইট হয়ে থাকলেও, আপনার মালয়েশিয়ার ভিসা লাগবেই।
কোনো টিকেটে যদি একটার বেশি ট্রানজিট থাকে, তাহলে যে দেশেই ট্রানজিট থাকুক না কেন, আগে থেকেই এয়ারলাইনের সাথে বা এজেন্সির সাথে কথা বলে ট্রানজিট ভিসা লাগবে কিনা সেই ব্যাপারে জেনে নেওয়া ভালো।
যেহেতু ফ্লাইট segments নিয়ে কথা বলছি, তাই আরেকটা তথ্যও share করছি। কেও যদি কোনো টিকেটের একটা segment মিস করেন বা বোর্ড না করে থাকেন যে কোনো কারনেই হোক না কেন, তার পরের সব segments ই automatic ক্যান্সেল হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে no show চার্জ বা reservation ফী দিয়ে, আবার নতুন করে টিকেট validate করতে লাগে। এইটা শুধু মাত্র একই PNR এ যে সব segments গুলা আছে, সেগুলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
Example: ধরুন আপনার তুর্কিশ এয়ারলাইনের টিকেট করা, ঢাকা থেকে ইস্তানবুল হয়ে রোম তারপর আবার রোম থেকে ইস্তানবুল হয়ে ঢাকা ফেরত আসার। মানে যেভাবে আমাদের রিটার্ন টিকেট করা হয়। কোনো কারনে, আপনি ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুলের ফ্লাইটটা মিস করলেন, সেই ক্ষেত্রে পরের সবগুলা ফ্লাইট ও কিন্তু অটোমেটিক ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছে। আপনে যদি আলাদা একটা টিকেট করে ইস্তানবুলে গিয়ে, ১২ ঘন্টা পরের ইস্তানবুল থেকে রোমের ফ্লাইট ধরে যেতে চান, আপনাকে আলাদা করে বাকি সব segment এর reservation ফি দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। তাই যদি কোনো একটা segment আপনার আগে থেকেই use না করার পরিকল্পনা থাকে, সেই ক্ষেত্রে ট্রাভেল ডেটের আগেই আপনার itinerary টা বদলে নেওয়াটাই উচিৎ।
*Refund Policy:
অনেকেই মনে করে থাকেন, যেকোনো ফ্লাইট ক্যান্সেল করলে আপনি টাকা ফেরত পাবেন। এইটা সম্পূর্ণ ভুল একটা idea। তাই আগে থেকেই এই ব্যাপারে জেনে নিবেন বা terms & conditions পড়ে নিবেন যদি নিজে টিকেট করতে চান।
*Date Change:
ইদানিং অনেক Low Fare টিকেটের ক্ষেত্রেই date change মানে ভ্রমণের তারিখ বদলানো যায়না বা গেলেও হয়তো আপনার টিকেটের দামের থেকে বা নতুন টিকেটের থেকে বেশি দাম দিতে হতে পারে। This is specially the case with Low Cost Carriers like Air Asia, Scoot, etc.
*আপনার টিকেট কে এবং কোন দেশ থেকে ইস্যু হচ্ছে:
অনেকেই অনলাইনে টিকেট করে (international OTAs like Expedia) বা কোনো এজেন্সির থেকে টিকেট করে, পরে এয়ারলাইন অফিসে যান ক্যান্সেল করতে বা ভ্রমণের তারিখ বদলানোর জন্য। অনেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে আপনি যে টিকেট কিনছেন, সেটা ইস্যু হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। বাইরের ডোমেস্টিক টিকেটও বাংলাদেশের OTA গুলা থেকে কিনলে, অনেক ক্ষেত্রেই তা ইস্যু হয়ে থাকে দেশের বাইরে থেকে। এইসব ক্ষেত্রে দেশের এয়ারলাইনের অফিসে গেলেও আপনাকে তাঁরা সাহায্য করতে পারবে না (in most cases)। তাই কারো date change বা ক্যান্সেল করার বেপার থাকলে, আগে থেকে বুঝে শুনে টিকেট করাটাই ভালো।
*Baggage Fee:
অনেক এয়ারলাইনের ক্ষেত্রেই এখন baggage থাকে না বা খুবই কম থাকে। যদি baggage কিনতে লাগে বা extra weight কিনতে হয়, তাহলে টিকেট করার সময় বা আগে থেকেই Manage Booking অপশনে (এয়ারলাইনের website এ) গিয়ে baggage কিনে নেওয়া ভালো। এয়ারপোর্টে মোটামুটি সব এয়ারলাইন অনেক বেশি টাকা চার্জ করে থাকে।
*Using someone else’s Credit Card:
আমাদের দেশে বেশিরভাগ লোকেরই ক্রেডিট কার্ড অথবা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেই আর সেই কারনে অনেক সময়ই আমরা আরেকজনের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টিকেট করে থাকি। আরেকজনের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যদি কেউ টিকেট কিনে থাকেন, তাহলে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের থেকে একটা authorization letter নিয়ে নেওয়াটা ভালো, specially যদি টিকেটটা direct এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটের থেকে কাটা হয়। মোটামুটি সব এয়ারলাইনের খেতেই ক্রেডিট কার্ড ভেরিফিকেশনের নিয়ম আছে। Third Party apps বা ওয়েবসাইটের থেকে কিনে থাকলে আবার তেমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার chances অনেক কম থাকে। তাও যদি আরেকজনের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টিকেট করে থাকেন, একটা authorization letter নিয়ে নেয়াটাই বেটার।
*টিকেট করার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের কপি ও ভিসা কপি দেওয়াটা mandatory কিনা?
বাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ টিকেটের ক্ষেত্রেই উপরের দুইটা জিনিষ এজেন্সিকে বা এয়ারলাইনকে দেওয়াটা sort of mandatory। তাই কোনো এজেন্সি বা এয়ারলাইন এইগুলা চাইলে, তাদেরকে সময় মতো দিয়ে দেয়াটাই ভালো। নাহলে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় সমস্যা হতে পারে।
*আপনার ফ্লাইট কোন aircraft এ:
বেশিরভাগ মানুষই এই ব্যাপারে জানতে চায় না, কিন্তু একটা বড় journey এর ক্ষেত্রে, এইটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একেকটা aircraft এর একেক রকম facilities থাকে একই এয়ারলাইন হয়ে থাকলেও। আপনি চাইলেই নিজে, কিংবা যেখান থেকেই টিকেট করছেন, তাদেরকে জিগ্যেস করে সেটা জেনে নিতে পারেন। Flying in a Boeing 787 or A 350 or A 380 or B 777 (double aisle aircrafts) is way more comfortable than flying in a B 737 or A 320 (single aisle aircraft).
আপনি চাইলে অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কোথাও জানতে পারেন, যেমন পার্সোনাল এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম আছে কিনা, হালাল ফুড, অধবা খাবারের মেন্যু আগে থেকেই পছন্দ করে রাখা ইত্যাদি।
*কোন এয়ারপোর্ট থেকে আপনি fly করবেন বা কোন এয়ারপোর্টে নামবেন?
বিশ্বের অনেক শহরেই এখন একটার বেশি এয়ারপোর্ট। একেকটা এয়ারপোর্টের facilities এবং শহরের থেকে দুরুত্ব একেক রকম। যেমন লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক বা আরো অনেক শহরেই ৩ টার বেশি এয়ারপোর্ট। কোনটাতে আপনি নামবেন বা কোনটা থেকে উঠবেন, সেটা আগে থেকেই খেয়াল করে ভালো।
*কোন দিন বা তারিখে fly করবেন?
টিকেট করার ক্ষেত্রে একটু আগে পিছে করে তারিখ সিলেক্ট করলে হয়তো আপনি অনেক কম দামে টিকেট পেতে পারেন। আবার অনেক শহর থেকেই মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার টিকেটের দাম কম পরতে পারে weekend এর থেকে। সেটাও টিকেট করার সময় খেয়াল রাখতে পারেন।
আশা করি আপনার air ticket করার ব্যাপারে একটু হলেও হেল্প করবে লেখাটা।
উপরে যা লিখা সেগুলা আমার নিজের এবং বিভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া তাই কোনো ভুল থাকতেই পারে।